1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সহযোগীতায় পুনরায় আলোকিত হলো কমিউনিটি ক্লিনিক - আলোকিত খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সহযোগীতায় পুনরায় আলোকিত হলো কমিউনিটি ক্লিনিক

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের নালকাটা কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৫ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় উপজেলা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ।
এর ফলে উক্ত ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। নালকাটা ক্লিনিকে এলাকার গর্ভবর্তী নারীদের সন্তান স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার প্রসব করানো হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে গর্ভবর্তী নারীদের সন্তান প্রসব কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় গর্ভবর্তী নারীদেরকে সন্তান প্রসবের জন্য অন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হচ্ছিল। পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় কোন চিকিৎসা সেবা ঠিক মতো দিতে পারছিলনা চিকিৎসকরা। ক্লিনিকে শুরু হয়েছিল এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির।
এরই মধ্যে গত ২ মার্চ পানছড়ি উপজেলা পরিদর্শনে যান খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। তিনি পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পানছড়ি উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে তিনি পানছড়ি থানা, সদর ইউনিয়ন পরিষদ, পানছড়ি উপজেলা ভূমি অফিস, পানছড়ি মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, পানছড়ি মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের শেষ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান পানছড়ি উপজেলার “নালকাটা কমিউনিটি ক্লিনিক” পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জানতে পারেন, ক্লিনিকের ২৫ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। ২৫ মাসের এই বিদ্যুৎ বিলের পরিমান ১৯,৫৪০ টাকা। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারনে নালকাটা কমিউনিটি ক্লিনিকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর ফলে উক্ত ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এ তথ্য পাওয়া মাত্র খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন। বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করেন। বিদ্যুৎ সংযোগে পুনরায় আলোকিত হয় নালকাটা কমিউনিটি ক্লিনিক। এতে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক। ফলে অত্র এলাকার প্রসূতি নারীদের কষ্ট ও ভোগান্তি দুটোই লাঘব হয়। এতে জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ