প্রেস বিবৃতিঃ
খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাব পুনর্গঠন হয়নি মর্মে প্রেস বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ এরশাদ হোসেন চৌধুরী।
বুধবার (৬ মে) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ এরশাদ হোসেন চৌধুরী কর্তৃক প্রেরিত এ প্রেস বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাবের আগের কমিটিই বলবৎ রয়েছে। সম্প্রতি অনলাইন প্রেসক্লাব পুনর্গঠন হয়েছে মর্মে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাব নিয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির সকল সচেতন জনসাধারণ কাধে কাধ মিলিয়ে যেখানে ব্যস্ত সময় পার করছে সেখানে জামাত-বিএনপির প্রতিনিধিরা খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাব নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে। মূলতঃ অনলাইন প্রেসক্লাবে ঘাপটি মেরে থাকা সংগঠনটির সহ-সভাপতি জামায়েতে ইসলামের নেতা মনিরুল ইসলাম মাহিম, সাধারণ সম্পাদক নিষ্ক্রিয় সাংবাদিক মোঃ মাঈনুদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুবদল নেতা রহিম হৃদয় বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিলের উদ্দ্যেশ্যে জামাত-বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে অনলাইন প্রেসক্লাব পুনর্গঠনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে যা আমরা অবগত নই। খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাব নিয়ে জামাত-বিএনপি কর্তৃক এমন ন্যাক্কারজনক ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয় মনিকা ক্লথ স্টোরের ৪র্থ তলায় ১১জন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাব আত্মপ্রকাশ করে। ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এমতাবস্থায় খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাবের নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে শীঘ্রই কমিটি পুনর্গঠন করার কথা ছিল।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাব আত্মপ্রকাশ করার পর ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সংগঠনের নীতিমালা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার কারণে বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেদিনই আমাদের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। এরপর সংগঠনের অন্যান্য সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে রেজুলেশন করে আমাকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাবের সকল কার্যক্রম ভালভাবেই চলছিল। এমতাবস্থায় সংঠনটির সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম মাহিমের জামাত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সাথে অন্যান্যদের মতানৈক্য দেখা দেয়। আর এতে, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাঈনুদ্দিন সাংবাদিক পেশা বাদ দিয়ে চট্রগ্রামে নিজের ব্যবসায়িক কাজে মনোনিবেশ করে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম হৃদয় ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি খাগড়াছড়ি (জনবীমা) শাখায় নিজের চাকুরীতে মনোনিবেশ করেন। এমতাবস্থায় সংগঠনটির কার্যক্রম কিছুটা দূর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অনলাইন প্রেসক্লাব পুনর্গঠনে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এদের স্বার্থবাদী মনোভাবের কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এরই মাঝে সারাদেশ যখন মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যস্ত ঠিক তখনি খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাব নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাঈনুদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম মাহিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম হৃদয় নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীদের নিয়ে অনলাইন প্রেসক্লাব পুনর্গঠনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে।’
খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাবের আদলে এটি দলীয় কমিটি বলে তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘এখানে লক্ষিছড়ি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোবারক হোসেন কে সভাপতি, জামায়েতে ইসলামের নেতা মনিরুল ইসলাম মাহিমকে সহ-সভাপতি, গুইমারা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ নুরুল আলমকে সহ-সভাপতি, গুইমারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলমকে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং মানিকছড়ি উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন কে অর্থ সম্পাদক করে সংগঠন পুনর্গঠনের নামে দলীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেটিকে খাগড়াছড়ি অনলাইন প্রেসক্লাব নিয়ে জামাত-বিএনপি চক্রের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে হচ্ছে। এহেন এ অবস্থায় আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে আমরা খাগড়াছড়ির সকল সহকর্মী সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি।’