1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
মাটিরাঙ্গায় একটি খড়ের গাদা প্রস্তুত করতে গেল ২০ হাজার টাকা - আলোকিত খাগড়াছড়ি

মাটিরাঙ্গায় একটি খড়ের গাদা প্রস্তুত করতে গেল ২০ হাজার টাকা

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধিঃ

এ বছর ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের কারণে ফসল নষ্ট হওয়ায় ধানের দাম বেশী। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে গো-খাদ্য খড়ের। সংকট দেখা দিচ্ছে গবাদি পশুর খাদ্য।

বছরের যে সময়ে ধান উৎপন্ন হবার সময় ঠিক সে সময়টিতে দেশজুড়ে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারনে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে নুয়ে পড়েছে ধান গাছ। ফলে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ধান গাছের বেশ ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি গো-খাদ্য খড়ের উৎপাদন ও খুব কমে গেছে। ধান গাছ নষ্ট হবার ফলে কৃষক ধান কাটতে হয়েছে শুধু মাত্র ধানের ছড়াগুলো।  সে কারণে কৃষকের খড় সংগ্রহ হয়েছে অনেক কম। ফলে খড়ের আকাশ ছোঁয়া দাম।

মাটিরাঙ্গার চেয়ারম্যান পাড়ায় দেখা মিলল একটি খড়ের গাদা যা প্রস্তুত করতে কৃষক আবদুল্লাহর প্রায় ২০ হাজার টাকা লেগেছে। দুই একর জমির খড় দিয়ে একটি মাত্র খড়ের গাদা প্রস্তুত করছেন তিনি। তাতেই এক টাকা গুনতে হয়েছে তাকে। এ বছর খড় উৎপাদন কম হওয়ার কারণে দাম খুব বেশী।

একটি খড়ের গাদা নির্মাণ করতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে। দুজন লোক দৈনিক কাজ করতে হয়। একজন নিছ থেকে খড় ঢিল মেরে উপরে তুলে দিতে হয়। অপরজন খড়ের গাদার উপর উঠে খড় রিসিভ করে বিছিয়ে দিতে হয় চারপাশে। সমান ভাবে খড় বিছিয়ে চারপাশ গুরে গুরে হেটে মিলিয়ে দিতে হয়। প্রথম দিনে একটি খড়ের গাদা সম্পুর্ণ করা যায় না। খড় গাদার মধ্যে বসতে সময় দিতে হয়।

গ্রামে গরু ছাগল হাঁস মোরগ নিয়ে একটি গৃহস্থ পরিবার গঠিত হয়। এসব পরিবারে একটি খড়ের গাদা বাধ্যতামুলক থাকতেই হবে। তারা এটিকে গৃহস্থ পরিবারের শোভা মনে করেন।

জালাল উদ্দিন নামে অপর কৃষক বলেন,আমি এবার অল্প জমি চাষাবাদ করেছি। ফলন খুব একটা ভাল হয় নি। ধানের দাম বেশি হলেও এ বছর নিজেদের খাওয়ার জন্য যতেষ্ট হবে। বিক্রি করা যাবে না। তবে খড়ের দাম খুব বেশি, উভয়ের দাম বেশি হলেও ফলন ভাল হয় নি।

কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান,আমি কখনো ধানের এত দাম দেখি নি। তবে ধানের দামের সাথে এ বছর খড়ের দাম ও বেড়েছে। গরুর দামও তেমন নেই। এত বেশি দাম দিয়ে খড় ক্রয় করা সম্ভব হব না। তাই গরু বিক্রি করে দিব ভাবছি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান,আমাদের লক্ষমাত্রার তুলনায় এবারে উৎপাদন কম হলেও ধান ও খড়ের দাম খুব বেশী। তবে কৃষক খড় রক্ষণাবেক্ষণের নিয়ম যথাযথ পালন না করার কারণে প্রতিবছর অনেক খড় নষ্ট হয়। কৃষক যদি খড় সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম অনুসরন করে তাহলে খড় নষ্ট হবার সম্বাবনা খুব কমে আসবে। পাশাপাশি গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ