1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
এলাকায় আগতদের উদেশ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমার বার্তা - আলোকিত খাগড়াছড়ি

এলাকায় আগতদের উদেশ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমার বার্তা

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০
মুক্তমত ডেস্কঃ
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নিজ উপজেলাবাসীর উদ্যশ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমার একটি যুগোপযোগী লেখা ফেসবুক প্রোফাইলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। লেখাটি পাঠকদের উদ্যেশ্যে নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো,-
“ঢাকা/চট্টগ্রামে অবস্থান করা মানে করোনায় আক্রান্ত হওয়া নয়। নির্দেশনা মেনে চললে বা সচেতন থাকলে সব খানে নিরাপদ থাকা সম্ভব। তাই এলাকায় ফিরে নিজেকে, পরিবারকে ও সমাজকে ঝুঁকিতে ফেলার কোন দরকার নেই।
আমরা উপজেলার বৃহত্তর অংশকে প্রধান্য দিচ্ছি, যেখানে আপনাদের/আমাদের  সকলের পরিবার-পরিজন রয়েছে তাদেরকে “করোনা ভাইরাস” প্রাদুর্ভাব থেকে নিরাপদ রাখার জন্য এমন কঠোর সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিতে বাধ্য হয়েছে।
কোন ব্যক্তি যদি মনে করে- সিদ্ধান্তটি অন্যায় কিংবা অমানবিক হয়েছে,আমরা দুঃখিত। “করোনা”র  ভয়ে যদি পালিয়ে আসা দরকার হয়, তাহলে উপজেলাতে  দায়িত্বর CO/UNO/OC সাহেবদের ও অন্যান্য অফিসারদের যে পরিবারগুলো ঢাকা/ চট্টগ্রাম অবস্থান করছে তাদেরকে আগে এখানে পালিয়ে আনা যেত ।
তাহলে বলা যায়- গুজবের শিকার হয়ে আমাদের এসব বন্ধুরা অতীব কষ্টে নিজ এলাকায় ফিরার চেষ্টা করছে। আর অবিভাবকরাও তাদের ছেলে মেয়েদের জন্য টেনশনে রয়েছে এবং ঘরের ফেরার জন্য আকুতি জানাচ্ছে।
তবে,আরেকটা বাস্তবতা হল-অনেক শ্রমজীবি এখনো বেতন পায়নি যার ফলে খাওয়া-দাওয়া চরম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমিও নিজেই বেশ কিছু পরিচিত বিপদে পড়া লোকদের টাকা পাঠিয়েছি। সে এলাকার দায়িত্বশীল প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও কারখানার মালিকরা তাদের এই অসহায় পরিস্থিতিতে কোন প্রকার সহযোগিতা হাত বাড়াচ্ছে না এবংকি অনেক বাড়ীর মালিক অমানবিকভাবে  বাড়ী ছেড়ে দেওয়ার  জন্য অনেক শ্রমিককে চাপ সৃষ্টি করছে। সব কিছু মিলিয়ে  ঢাকা/ চট্টগ্রামের পাহাড়ী কর্মজীবিরা করুন পরিস্থিতির শিকার হয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে। যার ফলে বাঁচার তাগিদে তারা অনেকেই ঘরে ফেরার চেষ্টা করছে।
বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা দরকার। এখন তারা বাঁচার জন্য যেভাবে কষ্ট করে ঘরে ফিরছে বা যে দূর্ভোগের মধ্যে তাদের ফিরতে হচ্ছে, জীবনের মধ্যে কোনদিন তারা এ ধরনের দূর্ভোগে পড়েছে বলে আমি মনে করিনা। তাই- বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখা দরকার। আমি মনে করি- সমস্যাটি গড়ায় গলদ।, সরকারের বা কারখানার মালিকদের গার্মেন্টস বন্ধ- খোলা- বন্ধ  এই সিদ্ধান্তহীনতা বড় ধরনের সমস্যা ফেলেছে। #এখন কর্মজীবিদের  সেখানে অবস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সরকারের /কর্তৃপক্ষের নিম্নে উল্লেখিত সিদ্ধান্তগুলি বিবেচনা করা দরকারঃ–
★কর্মজীবিদের পাওনা বেতন বা এক মাসের অগ্রিম বেতন প্রদান করা দরকার।
★স্ব স্ব ভাড়া বাসায় অবস্থান করার ব্যবস্থা প্রশাসনের  নিশ্চিত করে দেওয়া দরকার।
★তাদেরকে সরকারের “করোনা পরিস্থিতি” মোকাবিলায় সহায়তা কর্মসূচির আওয়াতায়- চাল,ডাল,তৈল,পেয়াজ প্রদান করা দরকার।
এসব বিষয়ে  যদি ঢাকা/চট্টগ্রামের প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিরা মানবিক দায়িত্ব পালন করে, তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত কর্মজীবিরা এলাকায় ফিরতে চাইবে না।
(বিদ্রঃ গন পরিবহন বন্ধ থাকা সত্বেও মানুষ দূরপাল্লায় যাতায়াতের  সুযোগ কিভাবে পায় ? বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিতে আনা দরকার)”

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ