সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বজ্রপাতে খাগড়াছড়ি জেলায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দীঘিনালা উপজেলায় একই পরিবারের মা-ছেলে বজ্রপাতের আগুনে পুড়ে মারা গেছে। রামগড় উপজেলায় একজন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এক নারী মারা গেছে । রবিবার (৫ মে) ভোর রাত ৪-৫ টার মধ্যে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তারা মারা যান।
নিহতদের মধ্যে মা-ছেলে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গোরস্থান পাড়া এলাকার বাসিন্দা। বজ্রপাতে নিহত মায়ের নাম হাসিনা বেগম (৩০) ও ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। নিহত নারী ঐ এলাকার ছাদেক মিয়ার স্ত্রী।
এদিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশী কারবারি পাড়াস্থ সমিকা ত্রিপুরা (২৬) নামে আরেক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সে শশী কার্বারী পাড়ার সুছেল বিকাশ ত্রিপুরার স্ত্রী। এঘটনায় নিহতের ২ শিশু সন্তান বজ্রপাতের আগুনে ঝলসে গিয়েছে। বর্তমানে তারা মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসময় তার ঘরের পাশে বেধে রাখা ৩টি ছাগলও মারা গেছে।
অপরদিকে বজ্রপাতে রামগড় উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামের হাজাছড়া এলাকায় গনজ মারমা (৫০) নামে এক নারী মারা গেছেন। এসময় বজ্রপাতে নিহতের ২টি গবাদিপশুও মারা যায়।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কমান্ডার রুবেল ত্রিপুরা বলেন, ‘বজ্রপাতের খবর পেয়ে সকালে আমরা গোরস্থান পাড়ায় গিয়েছি। সেখানে দুটি লাশ উদ্ধার করেছি। লাশগুলো আগুনে পুড়ে কয়লার মতো হয়ে গিয়েছে। বজ্রপাতে ঘরে আগুন ধরে গেলে বড় ছেলে কোনমতে বের হতে পারলেও ছোট ছেলে ও মা বের হতে পারেনি।’
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘বজ্রপাতে খাগড়াছড়ি জেলায় একদিনে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যুই দুঃখজনক। এরমধ্যে মা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়েছে। আমাদের দেশে বজ্রপাতে নিহতের ঘটনা আগের চেয়ে বেড়েছে। এর থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।’