করোনা প্রতিরোধে রামগড়ের সাধারণ মানুষের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন গুইমারা সাব জোন এবং সাব জোন কমান্ডার মেজর জুনায়েদ বিন কবীর-জি।
শনিবার (২৩ মে) রামগড়ে মেজর জুনায়েদ বিন কবির- জি এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর গুইমারা সাব জোন, উপজেলা প্রশাসন এবং রামগড় পুলিশ করোনা প্রতিরোধমূলক বিশেষ কার্যক্রম এবং প্রচারণা পরিচালনা করেন।
এই কার্যক্রমের মধ্যে ছিল নির্দিষ্ট সময়ের পরে যে সমস্ত দোকান এবং বাজারগুলো খোলা ছিল সেগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বন্ধকরণ এবং বিশেষ ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা নিশ্চিত করা। এ সময় বিশেষ দলটি রামগড় বাজার, সোনাইপুল বাজার এবং রামগড় চেকপোস্ট সংলগ্ন দোকানপাট পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তারা উপস্থিত লোকজনকে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক করেন ও সকলকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পড়া ও বেশি বেশি সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার জন্য প্রচারণা চালান।
রামগড়ের সাধারণ জনতা এবং অত্যন্ত দুস্থ ও গরিব মানুষের মাঝে এক আস্থার নাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুইমারা সাবজোন কমান্ডার মেজর জুনায়েদ বিন কবীর জি। অন্যান্য সকল দিনের মত এই দিনও গুইমারা সাবজোন এই রোজার মাসের তপ্ত দুপুরে রামগড়ের গহীন পার্বত্য অঞ্চলে গিয়ে অত্যন্ত গরীব দুস্থ এবং কর্মহীন পরিবারের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে আসেন।
সেনাবাহিনীর এই ত্রাণ পেয়ে রামগড়ের দুস্থ ও কর্মহীন জনতা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
মেজর জুনায়েদ বিন কবির বলেন, রামগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান সার্থক পরিলক্ষিত হচ্ছে। কারণ আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সাধারণ জনতা তাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাইরে অযাচিত ঘোরাঘুরি করছেন না এবং যৌথবাহিনীর উপস্থিতির কারণে করোনা সংক্রান্ত সকল সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলছে।
মেজর জুনায়েদ আরও বলেন, সেনাবাহিনীর এই ত্রাণ বিতরণ আসন্ন ঈদের পরেও অব্যাহত থাকবে। করোনা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী রামগড়ের সকল গরীব এবং দুস্থদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে খাদ্য সামগ্রী এবং ত্রাণ।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন রামগড় এসিল্যান্ড সজীব কান্তি রুদ্র, লেফটেন্যান্ট রাইয়ান এবং ওসি বদরুদ্দোজাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।