1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
কাজ করে লেখাপড়ার খরচ চালানো শাহিনুদ্দিন পেল জিপিএ-৫ - আলোকিত খাগড়াছড়ি

কাজ করে লেখাপড়ার খরচ চালানো শাহিনুদ্দিন পেল জিপিএ-৫

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০
  • ৪০০ বার পড়া হয়েছে

আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধিঃ

দরিদ্র পিতার সন্তান হয়েও জিপিএ-৫ পেয়েছে পার্বত্য গ্রামীণ জনপদে বেড়ে উঠা মো.শাহিনুদ্দিন। তার বাবা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। শ্বেত রোগী বিধায় লোকে তাকে কাজে নিত না। পরিবারের ৫ সন্তানের লোখাপড়াসহ যাবতীয় ব্যায় নির্বাহ করতে তার বাবার পক্ষে খুব কষ্টসাধ্য ছিল। তাই শাহিনুদ্দিন লেখাপড়ার পাশাপাশি তার বাবার সাথে কাজে যেতেন। সাপ্তাহে দু’তিন দিন কাজ করতেন বাকি দিনগুলী স্কুলে ক্লাস করতেন। প্রতিদিন কাজ না পেলেও যা পেতেন তা দিয়ে সংসার চলতো কোনমতে।

তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র সে।  তার বাবার কাজের সহযোগিতা করতে গিয়ে স্কুলে অনিয়মিত থাকলেও বাড়িতে নিয়মিত পড়াশুনা চালিয়ে যেতেন শাহিনুদ্দিন।

যতটুকু সম্ভব উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার আগ্রহের কথা উল্লেখ করে শাহিনুদ্দিন জানায়, বড় হয়ে দেশের একজন গর্বিত সৈনিক হয়ে দেশ সেবা করবে। সৈনিক হওয়ার স্বপ্নে নিজেকে এখন থেকে প্রস্তুুত করছে শাহিনুদ্দিন।

শাহিনের বাবা আব্দুল জব্বার জানায়, আমি ভাবিনি শাহিনুদ্দিন এত ভাল ফলাফল করবে। সে আমার বাধ্যগত ছেলে। যত অভাব অভিযোগ থাকনা কেন সে পড়ার সময়ে মনযোগসহকারে পড়তো। আমি আমার ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি।

তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষক মাকসুদুর রহমান জানান, শাহিনুদ্দিন বিনয়ী ও মেধাবী ছাত্র। সে শিক্ষকদের সম্মান করতো, তবে দরিদ্রতার কারণে সে বিদ্যালয়ের প্রায়ই অনুপস্থিত থাকতো।

তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.রেজাউল জানান, দরিদ্রপিড়ীত এমন একটা পরিবার থেকে শাহিনের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত খবর খুব আশ্চর্য হবার কিছু নয়। দরিদ্র মেধাকে দাবিয়ে রাখতে পারে না। শাহিনুদ্দিন এটাই প্রমাণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, শাহিনুদ্দিনের স্কুল রোল ছিল ৩৮। সে তার বাবার সাথে কাজ করতো প্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত ছিল বিধায় সে জিপিএ-৫ পাবে এটা আমরা কেউ ভাবিনি। তার এমন একটা ভাল ফলাফল ভবিষ্যত জীবনকে আলোকিত করবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ