নিজস্ব প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলা খাদ্য গুদামের চাল অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
১৬ জুন (বুধবার) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিন্দুকছড়ি সেনা জোনের আওতাধীন মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্পের একটি টহল দল কর্তৃক মানিকছড়ি উপজেলার বাজার সংলগ্ন মাহি অটো রাইছ মিল গেইট থেকে ১৫ মেট্রিক টন চাল ভর্তি একটি ট্রাক আটক করা হয়। আটককৃত ট্রাক নং চট্টমেট্রো ট- ১৮-৪২৭৯।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ট্রাকটি গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া গুচ্ছগ্রামের রেশন কার্ডের চাউল যা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মানিকছড়ি বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এসময় নিরাপত্তাবাহিনী চাল ব্যবসায়ী শফিউল্লাহ (৮৫) এর নিকট চাল বিক্রির বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি নিরাপত্তাবাহিনীর নিকট ভূয়া কাগজপত্র উপস্থাপন করেন। তার উপস্থাপিত কাগজপত্রাদী ভূয়া প্রমানিত হলে তিনি তার কথার সুর পাল্টে বলেন, গুইমারার প্রজেক্ট চেয়ারম্যান মাসুদ ও আব্দুল কাদেরের নিকট হতে ১৫ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করেছেন এবং পরবর্তীতে মাহি অটো রাইস মিল মানিকছড়ি এর মালিক এস এম রবিউল ফারুক এর নিকট বিক্রয় করেছেন। অদ্যবধি তিনি কোন বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি।
এ বিষয়ে প্রজেক্ট চেয়ারম্যান মাসুদ ও আব্দুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ন।
নিরাপত্তাবাহিনী গুইমারা উপজেলার খাদ্য পরিদর্শকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি চাল বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
গুইমারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমেদ এই প্রতিবেদককে বলেন, খাদ্যগুদামের চাল বিক্রি করার কোন এখতিয়ার কারও নেই। গুইমারা খাদ্যগুদাম হতে কোন চাল বিক্রি হয়নি। এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান তিনি।
চাল পাচারের বিষয়টি বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এ ধরনের অনিয়মকারীদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন।