নিজস্ব প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মং সার্কেল চিফ মং প্রু সেইন শীর্ষক ধর্ম-বর্ণ গোষ্ঠী নির্বিশেষে রিজিয়নের আওতাধীন সাতটি জোন হতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান-২০২২ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০) আগস্ট সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে এই শিক্ষাবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির সাংসদ ও টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, কর্নেল সরদার ইশতিয়াক আহমেদ, ডিজিএফআই খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, মং সার্কেলের সার্কেল চীপ সাচিং প্রু চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি জেলা সহ অত্র ব্রিগেডের সকল অফিসার সহ ৭ টি জোন থেকে আগত ২১ জন হেডম্যান কার্বারী, অভিভাবকগন ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ সহ আনুমানিক ৪০০ জন ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এসএসসি ও এইচএসসির মোট ১০৩ জন শিক্ষার্থীকে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযুদ্ধা মং প্রু সেইন তৎকালীন মং সার্কেল চীফ নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করে মাতৃভূমির জন্য যে নিদর্শন স্থাপন করেছেন তা বর্তমান যুগের শিক্ষার্থী ও বিদ্যানুরাগীদের জন্য অনুকরণীয়। মাতৃভূমির জন্য তার অসামান্য অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কর্তৃক মং সার্কেল চীফ মং প্রু সাইন বাহাদুর শিক্ষাবৃত্তির প্রবর্তন করা হয়। অত্র রিজিয়ন কর্তৃক ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বারের মতো শিক্ষাবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
বক্তারা আরও বলেন, ভবিষ্যতে এই শিক্ষাবৃত্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি গরিব এবং অসহায় শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষার সমান সুযোগ পায় তা নিশ্চিতকরণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীয় চিন্তা ধারাকে সুদুরপ্রসারি পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করা ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরব গাঁথা কে সমুন্নত রাখার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করার প্রক্রিয়াও পূর্বের ন্যায় অব্যাহত থাকবে।