1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
পরিবেশ দূষণ, মানিকছড়িতে দুটি তামাকের চুল্লি ভেঙ্গে দিল প্রশাসন - আলোকিত খাগড়াছড়ি

পরিবেশ দূষণ, মানিকছড়িতে দুটি তামাকের চুল্লি ভেঙ্গে দিল প্রশাসন

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি:

দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ খ্যাত হালদার উজান মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ও যোগ্যছোলা ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় এ বছর প্রায় ৩৭ হেক্টর জমিতে তামাকের চাষাবাদ হয়েছে। তাছাড়া তামাক পোড়ানোর জন্য সবুজ বনায়ন ধ্বংস করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে স্বার্থান্বেষী একটি চক্র! যার ফলে

রবিবার (৫ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার আসাদতলী এলাকার মো. মুছা মিয়া ও গোরখানা এলাকার মো. ছাদেক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে বনের কাঠ চুল্লিতে পোড়ানোর অপরাধে দুটি চুল্লি ভেঙ্গে দেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এ্যাক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা ঘোষ।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় রেখে পুনরায় চুল্লিতে আগুন না দেয়ার নির্দেশন প্রদান করেন। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গোরখানার এলাকর ঝন্টু মিয়া, আবুল কালাম, আবদুল মালেক ও আসাদতলী এলাকার আবদুল মন্নান, আবদুল মতিন ও কামাল হোসেনসহ প্রায় ৩৪ জন কৃষক চলতি মৌসুমে হালদার উজানে তামাকের চাষাবাদ করেছেন। শুধু ফসলি জমিতে নয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘেঁষাও চাষ করা হয়েছে তামাক। প্রতিনিয়ত তামাক খেতে কিটনাশন ও বর্জ্যে হালদায় প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন যেমন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, তেমনি কিটনাশকের গন্ধে কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গড় উপস্থিতির সংখ্যা! আর তামাকের পাতা পোড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৫টি চুল্লি। যার সবকটিতেই বনের কাঠ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে তামাকের পাতা।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এ্যাক্সিকিউটি ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা ঘোষ বলেন, কাঠ পুড়িয়ে তামাক পাতা শুকানো আইনত অপরাধ। যার কারণে দুটি চুল্লি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আগামীতেও আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ