নিজস্ব প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মং সার্কেল চিফ মং প্রু সেইন শিক্ষাবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ গোষ্ঠী নির্বিশেষে রিজিয়নের আওতাধীন সাতটি জোন হতে মেধাবী ১০০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষাবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে এই শিক্ষাবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মহিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন,

ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী, খাগড়াছড়ি এনএসআই এর যুগ্ন পরিচালক মো. ফিরোজ রব্বানী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, মং সার্কেলের সার্কেল চীপ সাচিং প্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক পিপিএম, সাবেক সংসদ সদস্য ও ট্রাস্কফোর্স চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ি জেলা সহ অত্র ব্রিগেডের সকল জোন কমান্ডার সহ ৭ টি জোন থেকে আগত বিভিন্ন হেডম্যান কার্বারী, অভিভাবকগন ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ সহ আনুমানিক ৪০০ জন ব্যাক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এসএসসি ও এইচএসসির মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার উপবৃত্তি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বীর মুক্তিযুদ্ধা মং প্রু সেইন তৎকালীন মং সার্কেল চীফ নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করে মাতৃভূমির জন্য যে নিদর্শন স্থাপন করেছেন তা বর্তমান যুগের শিক্ষার্থী ও বিদ্যানুরাগীদের জন্য অনুকরণীয়। মাতৃভূমির জন্য তার অসামান্য অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কর্তৃক মং সার্কেল চীফ মং প্রু সেইন বাহাদুর শিক্ষাবৃত্তির প্রবর্তন করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে এই শিক্ষাবৃত্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলায় প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি গরিব এবং অসহায় শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষার সমান সুযোগ পায় তা নিশ্চিতকরণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব গাঁথা কে সমুন্নত রাখার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করার প্রক্রিয়াও পূর্বের ন্যায় অব্যাহত থাকবে।’