1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
অবরোধে খাগড়াছড়ির পর্যটনে ধ্বস - আলোকিত খাগড়াছড়ি

অবরোধে খাগড়াছড়ির পর্যটনে ধ্বস

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি:
হরতাল-অবরোধের কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে প্রকৃতির রাণী খাগড়াছড়ি। রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই খাগড়াছড়ির পর্যটন খাতে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে সাজেকগামী পরিবহন সেক্টরগুলো। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা ও হর্টিকালচার পার্ক একদম পর্যটক শূন্য। পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেকও। প্রকৃতি পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকলেও চারদিকে সুনসান নীরবতা।
খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির তথ্যানুযায়ী গত দুই সপ্তাহে খাগড়াছড়ি পর্যটন খাতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মুলত অক্টোবর মাস থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও এখন পরিস্থিতি তার উল্টোটা। পর্যটন মৌসুমের শুরুতে সমাবেশ, হরতাল ও অবরোধের কারণে পর্যটক শূন্য খাগড়াছড়ির পর্যটক কেন্দ্রগুলো। যার কারণে বিপাকে পড়েছে পর্যটন নির্ভর হাজার হাজার বসায়ীরা।
সাজেকের জীপ চালক মো. কিবরিয়া বলেন ২ সপ্তাহ আগে প্রতিদিনই তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আয় করেছি। কিন্তু, হরতাল ও অবরোধের কারণে পর্যটক না আসায় গেলো ১৫ দিন ধরে গাড়ি চালাতে পারছিনা। হরতাল-অবরোধে আমাদেরকে একদম শেষ করে দিয়েছে। পর্যটকদের অবরোধের আওতামুক্ত রাখার দাবী জানান তিনি।
খাগড়াছড়ির রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি পেয়ার আহমেদ বলেন, ‘এবার পর্যটন মৌসুমে ভাল ব্যবসা হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু এখন দেখি ভরা মৌসুমে পর্যটক শূন্য। অবরোধ হরতাল শুরুর পর থেকে কোন পর্যটক আসছেনা। এতে আমরা খুবই ক্ষতির মুখে পড়ছি।’
খাগড়াছড়ি ও সাজেকে রয়েছে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও কটেজ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানে পর্যটক না থাকায় নেমে এসেছে নীরবতা। আর বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও অবরোধে এ অঞ্চলের পর্যটনখাতে প্রতিদিনই এক থেকে দেড় কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই হরতাল ও অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের পর্যটনখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় এ অঞ্চল এখন পর্যটক শূন্য। আমাদের হোটেলের সমস্ত আগাম বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে পর্যটন খাতে প্রতিদিনই প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমার কর্মচারীর বেতনও ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারবো না। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবো তারা যেন হরতাল ও অবরোধের মতো কোন কর্মসূচি আর না দেয়।
পর্যটন মৌসুমে পর্যটন নগরী খাগড়াছড়িতে এখন কেবলই হাহাকার। হোটেল-মোটেল জোনে হাজার হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীর এরকম পরিস্থিতি বিরাজমান থাকলে বেতনও তোলা যাবে না বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে সাজেকগামী পর্যটক বহনকারী যানবাহন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে চালক-হেলপার সহ সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ