1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর ও আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী - আলোকিত খাগড়াছড়ি

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর ও আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
মো. আবদুর রউফ:
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম এবং দেশের ১৫তম স্থলবন্দর ‘রামগড় স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প’ এর শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের সময় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যুক্ত ছিলেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী , জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানরা।
স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড় মহামুনি এলাকায় ৪১২ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি আন্তর্জাতিকমানের সেতু নিমার্ণ কাজ শেষ হয়েছে আগে। ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমির্ত এ সেতুটি ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুদেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ করা হয়।
রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল তথা সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য ভারতের ৭টি রাজ্যে চলে যাবে। আর কম সময়ে স্থলবন্দর হয়ে আগরতলা বিমানবন্দর দিয়ে চিকিৎসা ও ব্যবসার জন্য ভারত যেতে পারবেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী গাড়ি বারৈয়ারহাট থেকে রামগড়ের স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে যাবে। একইভাবে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য নিয়ে ট্রাক কাভার্ডভ্যান আসবে চট্টগ্রাম বন্দরে। এজন্য সর্বোচ্চ সময় লাগবে তিন ঘণ্টা।
ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়কে ইতোমধ্যে জাইকার তত্ত্বাবধানে ৮টি ব্রিজ ও ৮টি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। একই প্রকল্পের আওতায় রামগড়ের ফেনীরকূল এলাকায় প্রধান সড়কে রোড লোড স্কেল প্রকল্পের কাজও  শেষ হয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ পণ্যবাহী গাড়ি ব্যবহার করা হবে। এই পয়েন্ট দিয়ে বাণিজ্য শুরু হলে ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম, আসাম ও মিজোরাম এবং বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির রামগড়, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, মিরসরাই ও সীতাকু-সহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ উপজেলা বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় স্বল্প আয়ের মানুষদের বাসস্থান নিশ্চিত করতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প। এই আবাসনে ভূমিহীন, গৃহহীন, যুদ্ধাহত ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ, পঙ্গু, বিধবা ও বয়স্ক নারীদের নিরাপদ বসবাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে ১৫টি দ্বিতল ভবনে ৪টি ইউনিটে মোট ৬০টি পরিবারের বাসস্থান রয়েছে।
স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের আওতায় নির্মিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পে মোট ভবন ১৫টি। দুইতলাবিশিষ্ট প্রতি ভবনে ৪টি করে পরিবার থাকতে পারবেন। আবাসন প্রকল্পে ৬০ টি পরিবার বসবাস করতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ