মো. আবদুর রউফ:
ক্লু লেস খাগড়াছড়ির আলোচিত ক্ষুদ্র কাঠ ব্যবসায়ী মো: শফিকুল ইসলাম রাসেল(২৭) অপহরণের ঘটনায় মুল পরিকল্পনাকারীসহ তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে দুইজনকে চট্টগ্রাম থেকে এবং একজনকে দীঘিনালা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি জানান অপহরণের এ ঘটনার কোন ক্লু ছিলনা। আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণ পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করে ৩জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু অপহৃত রাসেলকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলছে। যেহেতু অপহরণের মূলহোতাদের আমরা গ্রেফতার করতে পেরেছি সেহেতু আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই রাসেলকে উদ্ধার করতে পারবো। অপহরণকারীরা অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত। এখানে অনলাইন ক্যাসিনোর সূত্র পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপহরণের ঘটনায় আটককৃতরা হচ্ছে, মিঞধন চাকমা (২৭), সন্ধ্যা চাকমা (২৪) ও ধনঞ্জয় চাকমা (৫৫)। আটককৃতদের মধ্যে মিঞধন চাকমা ও সন্ধ্যা চাকমা রাঙামাটির লংগদুর শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। তারা উভয়েই স্বামী-স্ত্রী। অপরজন ধনঞ্জয় চাকমা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত কলো চাকমার ছেলে বলে জানা গেছে।
গত ৯ নভেম্বর খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের আট মাইল এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ক্ষুদ্র কাঠ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম রাসেল (২৭)। বাগান দেখানোর কথা বলে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানান পরিবার। অপহৃত শফিকুল ইসলাম রাসেল খাগড়াছড়ির কল্যাণপুরের বাসিন্দা মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন ক্ষুদ্র কাঠ ব্যবসায়ী। অপহরণের পর অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পরিবার ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণও প্রদান করে। মুক্তিপণ নেয়ার পর থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় অপহরণকারীরা।