1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
দুর্গম লম্বাছড়াবাসী পেল জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ - আলোকিত খাগড়াছড়ি

দুর্গম লম্বাছড়াবাসী পেল জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
মো. আবদুর রউফ:
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম এক গ্রামের নাম লম্বাছড়া। এটি উপজেলার ১ নং মেরুং ইউনিয়নে অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। পিছিয়ে পড়া এই এলাকায় ৪ গ্রামের প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবারের বসবাস। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই একটিও। পাহাড়ি উঁচুনিচু দুর্গমতাকে মাড়িয়ে এই এলাকার শিশুদের ৬-৭ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যেতে হয় দূরের কোন বিদ্যালয়ে। তবে অবশেষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং খাগড়াছড়ির স্বনামধন্য অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. নয়নময় ত্রিপুরা সহ স্থানীয়দের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেল এই লম্বাছড়াবাসী। এই বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ নামে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় লম্বাছড়া গ্রামে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হাসনাত খাঁন, দীঘিনালা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী, ১ নং মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী, ভূমি দাতা শান্তিবালা ত্রিপুরা, ডা. নয়নময় ত্রিপুরা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। লম্বাছড়াবাসীর দুর্গমতার কথা চিন্তা করে পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীর জন্য আজকে এখানে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকায় আলোকিত মানুষ সৃষ্টি হবে। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে। আমরা আশাকরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এ এলাকায় শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।’
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে জেলা প্রশাসক সদ্য ভর্তিকৃত ৬০জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ এবং এলাকার শীতার্তদের মাঝেও কম্বল বিতরণ করেন।
দেশ স্বাধীনের ৫২ বছরেও খুবই অবহেলিত ছিল এই গ্রাম। তবে সময় বদলেছে, বর্তমান সরকারের আমলে এই গ্রামে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, ২০টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এবার যোগ হয়েছে স্কুল এন্ড কলেজ। যাতায়াতের জন্য কাচা মাটির সড়ক হয়েছে ইটের সলিং। আগামীতে তা কার্পেটিং হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ