নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাঙামাটিতে চাঁদার টোকেন দেখাতে না পারায় এক চালকের সিএনজি পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সিএনজি চালকের নাম মো. কামাল হোসেন। তিনি রাঙামাটি শহরের মসজিদ কলোনির বাসিন্দা।
রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কে উপজেলার আগর বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চালক কামাল হোসেন।
চালক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি সকাল ১০টার দিকে দুইজন যাত্রী নিয়ে কাপ্তাই যাচ্ছিলাম। কাপ্তাই ইউনিয়নের আগর বাগান এলাকায় পৌঁছালে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী আমার গতিরোধ করে আমার নিকট চাঁদার টোকেন আছে কিনা জানতে চান। টোকেন নাই বললে তারা আমাকে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলতে চায়। পরে আমি তাদের হাতেপায়ে ধরে কান্নাকাটি করে জীবন নিয়ে ফিরে আসি। এসময় তারা আমার সিএনজিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তেই আমার গাড়িটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাপ্তাই স্টেশনের স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে গাড়িটি প্রায় পুড়ে গেছে।’
রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু ততক্ষণে গাড়িটি পুড়ে গেছে। এখনো থানায় এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
রাঙামাটি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, ‘আমরা এই সড়কে শান্তি মতো গাড়ি চালাতে পারছিনা। প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীরা আমাদের গাড়ি গতিরোধ করে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদার টোকেন ব্যতীত গাড়ি চালাতে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এমনে সামান্য আয়ে চালকদের সংসার চালানোই দুঃসহ হয়ে উঠছে। সেখানে আমরা চাঁদা দেব কোথা থেকে? অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজী বন্ধ না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’
উউল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে এই কাপ্তাই সড়ক। রাঙ্গামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কটি এখন পর্যটকদের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। সড়কের একপাশে হ্রদ আর অন্যপাশে সবুজ পাহাড়ের কারণে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠা এই সড়কটি পাশে একের পর এক রিসোর্ট গড়ে উঠছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও এই সড়কে অবস্থিত। বিভিন্ন সময়ে এই পথে চাঁদার অভিযোগ করেছেন সড়ক ও নৌ-পথে চলাচলকারী যানবাহন শ্রমিকরা।