নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন কবাখালী ইউনিয়নের মিলনপুরস্থ জৈনক অমল কান্তি চাকমার সেগুন বাগানে গত ২৩ মে মোঃ ইমরান (২৬) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৪ দিনের মাথায় এর রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪জনকে গ্রেফতার করতে সামর্থ্য হয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল আজিজ।
তিনি বলেন, গত ২৩ মে হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবকের মাতা দীঘিনালা থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে ঐ দিনই ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সন্দেহযুক্ত আসামী শরীফুল ইসলাম (২৩) শরীফকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে আরেকজন সন্দেহযুক্ত আসামী মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৮) কে দীঘিনালা থানা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মোঃ আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামীকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল এলাকা হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তার ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। অত:পর আসামীদ্বয়কে মনস্তাত্ত্বিক কৌশল প্রয়োগ করে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করে অপর সন্দেহযুক্ত আসামী মোঃ আল আমিন (২৩) কে কবাখালীর মিলনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকেসহ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তার ছুরি এবং টমটম উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য ও বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত কৌশল প্রয়োগ করে অপর সন্দেহযুক্ত আসামী মোঃ রমজান (২৯) কে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আসামী মোঃ রমজানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকেসহ অভিযান পরিচালনা করে তার বসতঘর হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তার একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল আজিজ আলোকিত খাগড়াছড়ি কে বলেন, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য খুব দ্রুতই উদঘাটন করতে পেরেছি। এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৪জন কিলার অংশগ্রহণ করে। আমরা আমাদের দক্ষ চৌকস দলের মাধ্যমে ১জন ১জন করে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করেছি। এদের মধ্যে মূল আসামী মোঃ রমজান (২৯) পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় মানিকছড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করি। আজ খাগড়াছড়ি কোর্টে তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। প্রাথমিক তদন্তে মাদক ব্যবসা কেন্দ্রিক বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এদিকে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের দ্রত রহস্য উদঘাটন ও সকল আসামীদের গ্রেফতার করায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবক মোঃ ইমরানের (২৬) মাতা। তিনি অনতিবিলম্বে এদের ফাসি দাবী করেন।