1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
খাগড়াছড়িতে ব্যাংকের আত্মসাৎকৃত টাকাসহ আসামী গ্রেফতার - আলোকিত খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে ব্যাংকের আত্মসাৎকৃত টাকাসহ আসামী গ্রেফতার

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক ফি জমা নিয়ে ব্যাংকে জমা না দিয়ে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ১৫০ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায় ব্যাংকের পিয়ন শৌখিন চাকমা (৩০)। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা থেকে আত্মসাৎকৃত টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃ টাকা আত্মসাৎকারী শৌখিন চাকমা (৩০)পানছড়ি উপজেলার বড় কলক ধন্য চন্দ্র পাড়া এলাকার রঙ্গলাল চাকমার সন্তান।
পুলিশ জানায়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাসিক ফি জমাদানের সুবিধার্থে ট্রাস্ট ব্যাংক খাগড়াছড়ি শাখার অফিসারগণ উক্ত স্কুলের একটি সুবিধাজনক কক্ষে বসে ফি সংগ্রহ করেন। এরপর সংগৃহীত টাকা ট্রাস্ট ব্যাংকে জমা প্রদান করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত ব্যাংকের ম্যানেজারের নির্দেশে ব্যাংকের অফিস পিয়ন শৌখিন চাকমা (৩০) কে শিক্ষার্থীদের বিবিধ ফি বাবদ টাকা সংগ্রহের জন্য প্রেরণ করা হয়। এসময় সৌখিন চাকমা উক্ত স্কুলের শিক্ষার্থীদের ফি বাবদ সর্বমোট ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৫০ টাকা সংগ্রহ করে ব্যাংকে জমা না দিয়ে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এই বিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজার বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌফিকুল আলম এর নেতৃত্বে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, মামলার আইও সহ অন্যান্য অফিসারদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।
পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে ও তদারকিতে বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক তদন্ত কৌশলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত টিম মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মূল আসামী শৌখিন চাকমা (৩০) কে গ্রেফতার করে এবং আসামীর নিকট হতে ৪ লাখ টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামী শৌখিন চাকমা (৩০) অত্র মামলার দায় স্বীকার করেছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান খাতে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের মূল অভিযুক্তকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার এবং আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার করতে পেরে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ স্বস্তি বোধ করছে। ভবিষ্যতে অনুরূপ যেকোনো অপরাধের ক্ষেত্রে যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সর্বদাই সচেষ্ট থাকবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ